আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ সম্মানিত ভিজিটর আজ আমরা আলোচনা করব ইসলামের চুরির শাস্তির বিধান । চুরি করলে কি কি শাস্তি পেতে হবে । চুরি করার ক্ষতিকর দিকসমূহ । চুরি করলে দুনিয়ায় যে ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে কোরআন ও হাদিস থেকে পরিপূর্ণভাবে আলোচনা করা হচ্ছে
ইসলামের চুরির শাস্তির বিধান
চুরি ইসলামী আইনের পরিভাষায় অন্যের সংরক্ষিত সম্পদের গোপনে আহরণ করার নাম সুতরাং অপহূত
জিনিস এমন কোন জিনিস আছে যার মূল্য নিরূপিত আছে বা নিরূপণ যোগ্য নচেৎ সম্পদ বলে গণ্য হবে না
যে সংরক্ষিত সম্পদ গোপনে অপহরণ করাকে বলা হয় তার ন্যূনতম পরিমাণ প্রায় সকল ফিকাহ শাস্ত্রবিদদের
সর্বসম্মত নজরে সেকি দিনার অর্থাৎ মিশরের বর্তমান মুদ্রায় প্রায় পঁচিশ এর কারস এর সমান
এই সম্পদ চুরি হওয়ার আগে সুরক্ষিত স্থানে ছিল এবং চোর সুরক্ষিত থেকে জিনিসটা নিয়ে বেরিয়ে গেছে এমন হওয়া চাই
অন্য পোস্ট: দাজ্জালের আগমন কত বেশি ভয়াবহ হবে
সুতরাং যার কাছে কোন জিনিস রাখা হয়েছে সে যদি তা চুরি করে তবে তার হাত কাটা যাবে না অনুরূপ গৃহের অভ্যন্তরে যারা আসার অনুমতি প্রাপ্ত
যথা আত্মীয়-স্বজন চুরি করলে সেজন্য তার হাত কাটা যাবে না কেননা চোরাইকৃত সামগ্রী তার নাগাল থেকে সংরক্ষিত ছিল না
চুরি করলে দুনিয়ায় যে ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে
অনুরূপভাবে কেউ কোন জিনিস ধার নিয়ে যদি অস্বীকার করে তবে সেজন্য তার হাত কাটা যাবে না
ক্ষেতে বিদ্যমান ফসল যতক্ষণ ঘরে না ওঠে ততক্ষণ তা চুরি করলে হাত কাটা যাবে না অনুরূপভাবে ঘরের
বাইরে বা সংরক্ষণের জন্য তৈরি সিন্দুকের বাইরে রাখার সম্পদ চুরি করলে হাত কাটা যাবে না
তাছাড়া সম্পদ নির্ভেজাল পণ্যের মালিকানাভুক্ত হতে হবে যৌথ মালিকানা ভুক্ত সম্পদ থেকে কোন অংশীদার চুরি করলে তার হাত কাটা যাবে না
কারণ সম্পদের তার ও অংশ রয়েছে তাই তা অন্যের নির্ভেজাল মালিকানাভুক্ত সম্পত্তি নয় অনুরূপভাবে
সরকারি কোষাগার থেকে যে চুরি করে তার হাত কাটা যাবে না কেননা ওই সম্পত্তিতে তার অংশ রয়েছে
ওটা অন্যের নির্ভেজাল সম্পত্তি নয় তাই বলে এসব ক্ষেত্রে কোন শাস্তি দেয়া যাবে না তা নয় এসব ক্ষেত্রে
হাত কাটার শাস্তি দেওয়া যাবেনা তাঁজির অর্থাৎ হাত কাটার চেয়ে কম কোন শাস্তি বিচারকের মতামত ও বিরাজমান পরিস্থিতির আলোকে নির্ধারিত হবে
এ শাস্তি কারাদণ্ড বা ক্ষেত্রবিশেষ শুধু সৎ উপদেশ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে
যখন হাত কাটা হবে তখন ডান হাত কব্জি পর্যন্ত কাটতে হবে পুনর্বার চুরি করলে বাম পাকিয়ে পর্যন্ত কাটতে হবে এ পর্যন্ত সবাই একমত
অতঃপর তৃতীয়বারও চতুর্থবার চুরি করলে শাস্তি সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে সন্দেহের উদ্রেক হলে শাস্তি মওকুফ হবে
ক্ষুধাও অভাবের তাড়নায় জড়িত সন্দেহে মালিকানায় অংশীদারিত্বের সন্দেহে স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর তা
প্রত্যাহার জনিত সন্দেহ এবং সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রত্যাহার সন্দেহ এই সব ধরনের সন্দেহ শাস্তি মওকুফের জন্য যথেষ্ট
সন্দেহের ব্যাখ্যা নিয়েও সকলের মধ্যে মতভেদ রয়েছে যেসব জিনিস মূলত সকলের জন্য উন্মুক্ত কিন্তু পরে কেউ তাকে নিজস্ব মালিকানাভুক্ত বানিয়ে নিয়েছে
যেমন কারো সংরক্ষিত প্রাণী ও কারো স্বীকার করা পাখি ইত্যাদি এ দুটো জিনিস যেহেতু সকলের জন্য উন্মুক্ত তাই
বিশেষ ব্যক্তি মালিকানা ভুক্ত হওয়ার পরও তাতে সন্দেহের রেশ থেকে যায় এজন্য এ দুটো জিনিস চুরি
করলে হাত কাটার শাস্তি মওকুফ হবে এটা ইমাম আবু হানিফার অভিমত ।
অন্য পোস্ট: সুরা মুলকের শানে নুযুল ও ফজিলত