সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম

সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম সালাতুত তাসবীহ অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। 

সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম সালাতুত তাসবীহ অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।


সালাতুত তাসবিহ, তাসবিহ নামাজ নামেও পরিচিত। এ নামাজে তিনশত বার তাসবিহ পাঠ করা হয়। আর আর সেই গুরুত্বপূর্ণ তাসবিহ টি হল ‘সুবহানাল্লাহ, ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার’। সালাতুত তাসবীহ হল সেই নামাজ যাতে এই তাসবীহগুলো পড়া  হয়।

সালাতুত তাসবিহ নামাজের হাদিস

হাদিস শরিফে সালাতুত তাসবিহের অনেক ফজিলত রয়েছে। এই দোয়াগুলো পড়লে অতীতের গুনাহ মাফ হয় ও অসীম সওয়াব অর্জিত  হয়।

সালাত তাসবীহ দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মত নয়। আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর অনুসারীদের এই নামাজ আদায় করার জন্য উৎসাহিত করছেন। 

তিনি মুসলমানদের জীবনে অন্তত একবার এই নামাজ পড়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

সম্ভব হলে প্রতিদিন একবার, না পারলে সপ্তাহে একবার, না পারলে মাসে একবার, না পারলে বছরে একবার পড়তে হবে। 

যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে জীবনে একবার হলেও নামাজ টি পড়ুন।

সালাতুত তাসবিহ নামাজের ফজিলত

বিখ্যাত উলামায়ে কেরামের মতে, বিপদ ও দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য ছালাত তাসবিহের চেয়ে কার্যকরী আর কোনো দোয়া নেই।

সালাতুত তাসবিহ নামাজের অন্যতম ফজিলত হলো বিগত জীবনের গুনাহ মাফ হয় এবং অনেক সওয়াব অর্জিত হয়। 

রমজানের এই নামাজের মধ্যে সবচেয়ে ফজিলত। এ নামায সম্পর্কে একটি হাদীস বর্ণিত আছে।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) (আমার পিতা) হজরত আব্বাস (রা.)-কে বললেন, ‘হে আব্বাস! হে চাচা!

আমি কি আপনাকে এমন একটি কাজের কথা বলবো না? আমি কি আপনাকে দান করব না না? আজও কি আপনাকে জানাবো না? 

আমি কি আপনার  সাথে ১০টি নেক আমল করব না? (অর্থাৎ আমি ১০টি ভালো তাসবিহ পড়ার কথা বলবো  না)

 তাহলে আল্লাহ আপনার পূর্বের, পরবর্তী, পুরাতন, নতুন, সকল প্রকার গুনাহ মাফ করে দিবেন। >> ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত গুনাহ মাফ করে দিবেন ।> সগিরা ও কবিরার গুনাহ মাফ করবেন।

হে চাচা!) আপনি 4 রাকাত নামাজ পড়বেন এবং প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়বেন এবং যেকোন একটি সূরা মিলাবে।

নফল নামাজের নিয়ত নিয়ম ফজিলত করুন এক ক্লিকে

সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম

সম্মানিত পাঠকগন সালাতুত তাসবিহ নামাজ চার রাকাত। প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর যে কোন সূরা পড়তে পারেন। 

তবে এই নামাযের বিশেষত্ব হল প্রতি রাকাতে ৭৫ বার এবং চার রাকাতে মোট ৩০০ বার তাসবীহ পাঠ করা আবশ্যক।

সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ত

আমি চার রাকাত সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ত করলাম আল্লাহু আকবার

সালাতুত তাসবিহ নামাজ

তাসবীহ (اَكْبُ سُبْحاَنَ اللَهَ وَالْحَمُدُ اللَِهِ وَلآَ لَِلَهَ لاِلاَّ اللَّهُ وَاللَهُ)

 ১ম রাকাতে সানা পড়ার পর ১৫ বার তাসবিহ পড়তে হবে। 

অতঃপর সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা বা যথারীতি কমপক্ষে তিন আয়াত পাঠ করার পর ১০ বার তাসবীহ পাঠ করতে হবে।

অতঃপর রুকুতে গিয়ে রুকুর তাসবিহ পরার পর ১০ বার তাসবিহ পড়তে হবে।

রুকু থেকে উঠে ‘রাব্বানা লাকাল হামদ’ পড়ার পর ১০ বার তাসবিহ পড়তে হবে।

তারপর সিজদায় যান এবং সিজদার তাসবিহের পর ১০ বার তাসবিহ পড়তে হবে।

 প্রথম সেজদা থেকে উঠে ১০ বার তাসবিহ পড়তে হবে।

 তারপর আবার সিজদায় যান এবং সিজদার তাসবিহের পর ১০ বার তাসবিহ পড়তে হবে।

তারপর ২য় রাকাতেও একইভাবে পড়তে হবে, (সূরা ফাতিহা পড়ার আগে ১৫ বার তাসবীহ পড়তে হবে।)

সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম

সালাতুত তাসবিহ ২য় রাকাত

অতঃপর ২য় রাকাতের ২য় সিজদার পর “আত্তাহিয়্যাতু” পাঠ করার পর, সালাম না ফিরিয়ে, ৩য় ও ৪র্থ রাকাত ২য় রাকাতের মত একই প্রক্রিয়ায় শেষ করতে হবে 

(তাসবীহ টি ১৫ বার পড়তে হবে।  এবং সূরা ফাতিহা এবং অন্য একটি সূরা যথারীতি পড়তে হবে)।

সালাতুত তাসবিহ নামাজের ভুল হলে করণীয় কি

আপনি যদি এক জায়গায় সম্পূর্ণরূপে তাসবিহ পড়তে ভুলে যান বা একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কম পড়তে ভুলে যান তবে আপনি পরবর্তী স্টপে সেই সংখ্যার সাথে এই ভুলে যাওয়া সংখ্যাগুলি বুঝতে পারবেন।

 আর যদি এই নামাযে কোন কারণে সেজদায় সাহু ওয়াজিব হয়, তাহলে সেই সেজদায় এবং এর মধ্যবর্তী বৈঠকে উক্ত তাসবীহ পাঠ করা উচিত নয়। তাসবিহের সংখ্যা মনে রাখার জন্য আঙুলে কর গণনা করা যায় না, তবে আঙুল চেপে মুখস্থ করা যায়।

আরো পড়ুন সূরা মুলুকের শানে নুযুলফজিলত ও বাংলা উচ্চারন সহ

Previous Post Next Post