যিনার শাস্তি ও যিনার অপকারিতা Punishment adultery
নামাজ সম্পর্কে কোরআনের ৫৭ টি আয়াত পড়ুন
আসসালামুয়ালাইকুম সম্মানিত ভিজিটর যিনার শাস্তি ও অপকারিতা সম্পর্কিত আলোচনা করা হচ্ছে
যিনার সংজ্ঞা ও পরিচিতি
বালেগ ও বুদ্ধিমান একজোড়া নারী-পুরুষের বৈবাহিক বন্ধন ব্যতিরেকে স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে একজনের যৌনাঙ্গে অপরজনের যৌনাঙ্গ প্রবেশ করানো কে যিনা ব্যভিচার বলে।
ইমাম আযম আবু হানিফা (রহঃ) জিনার সংজ্ঞা দিয়েছেন এভাবে এমন কোনো নারীর সাথে তার সম্মতিতে
তার যৌনাঙ্গে কোন পুরুষের সঙ্গম ক্রিয়াকে জিনা বলে যে তার স্ত্রী বা ক্রীতদাসী ও নয় এবং স্ত্রী বা ক্রীতদাসী হওয়ার সন্দেহ বিদ্যমান নাই
আল্লামা ইমাম কাশানি রহমতুল্লাহি আলাইহি তার সংজ্ঞা জীবিত শব্দ যোগ করেছেন অর্থাৎ উভয় কে জীবিত হতে হবে
এই শেষোক্ত সংজ্ঞাধীন যিনাই অপরাধের অন্তর্ভুক্ত হবে এবং প্রথমোক্ত সংজ্ঞাধীন যিনা তাঁযিরের অন্তর্ভুক্ত হবে (আলমগীরী দ্বিতীয় খন্ড)
যিনার অপকারিতা
জিনা ও ব্যভিচার একটি ঘৃণ্য নৈতিক ও সামাজিক অপরাধ। তা যেমন বাহির চরিত্র ও মর্যাদা কে কলুষিত করে, তদ্রুপ সমাজ ও সভ্যতা কেউ ধ্বংসাত্মক পরিণতির দিকে ঠেলে দেয়।
এই অপকর্মের ফল স্বরূপ জন্মগ্রহণকারী একটি নিষ্পাপ ও নিরপরাধ মানুষকে সারা জীবনের জন্য কুপরিচয় বহন করতে হয় এবং হীনমন্যতার গ্লানিবোধ করতে হয়।
মরণঘাতি এইডস যিনা থেকে উৎপত্তি হয়
মরণঘাতী ব্যাধি এইডস এর উৎপত্তি হলো যিনা এসব প্রকাশ্য অন্তর্নিহিত ধ্বংসাত্মক ক্ষতির কারণে মহান আল্লাহ যিনাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এরশাদ করেন
ولا تقربوا الزنا انه كان فاحشه وساء سبيلا
আর তোমরা যিনার নিকটবর্তী হয়ো না তা নিশ্চিত অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ (সুরা বনি ইসরাইল আয়াত ৩২)
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যিনাকারী মুমিন থাকা অবস্থায় যিনা করতে পারেনা (বুখারী ও মুসলিম)
অর্থাৎ যিনায় লিপ্ত থাকা অবস্থায় মুমিন ব্যক্তি ঈমান এর বৈশিষ্ট্য হারা হয়ে যায়
অপর হাদিসে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেনঃ তোমরা যিনায় লিপ্ত হইওনা (আবু দাউদ তিরমিজি ও নাসায়ী)
যিনার কারণে মানবজাতির ও মানব সমাজের মূল ভিত্তি বিনষ্ট হয়ে যায় তাই ইসলামী আইনে যিনাকে কবিরা গুনাহ ও হত্যাযজ্ঞ অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হয়েছে
কোরআন মজীদে জিনার প্রতি ঘৃণা ব্যক্ত করে বলা হয়েছে – الزاني لا ينكح الا زانيه او مشركه والزانيه لا ينكحها الا زان او مشرك وحرم ذلك على المؤمنين
যিনাকারী ও যিনাকারীনি কে অথবা মুশরিক নারীকে ব্যতীত বিবাহ করবে না যিনাকারী তাকে যিনাকারীণী বা
মুশরিক ব্যতীত কেউ বিবাহ করবে না মুমিনদের জন্যে তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে (সূরা নূর আয়াত ৩)
বিবেকবান ব্যক্তি মাত্রই জিনাকে একটি ঘৃণ্য অপরাধ মনে করে এই অপরাধ সচ্চরিত্রের পরিপন্থী যিনাকারী যিনাকারিনীর এবং যিনাকারী যিনাকারীনি কে
তুচ্ছ জ্ঞান করে এরা অস্থিরতা লিপ্ত থাকে অবৈধ যৌন সংযোগ দাম্পত্য প্রেম ও সংসার জীবনকে ধ্বংস করে
যিনা এমন এক ঘৃণ্য অপরাধ যে পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবের তা নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে
যিনার শাস্তি
যিনার শাস্তি মূলত দুই প্রকার
১. রজম বা মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত অপরাধের উপর পাথর নিক্ষেপ করা
২. জালদ বা অপরাধীকে কোন খালি মাঠে নিয়ে যাবে।
তারপর তার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তার উপর হস্তক্ষেপ করতে থাকবে রজমের শাস্তি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে মুসলমানগণকে শাস্তির স্থলে একত্রিত হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা মুস্তাহাব।
বিচারকের নির্দেশে রজমের লোকেরা নামাজের মত সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে যাবে।
এবং রজম করতে থাকবে রজম করার সময় হজমকারী প্রস্তর নিক্ষিপ্ত ব্যক্তিকে হত্যা করার নিয়ত করাতে কোন অসুবিধা নেই।
তবে শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি যদি রজম কারীর এমন নিকটাত্মীয় হয় যার সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক হারাম তবে সে ক্ষেত্রে এরূপ নিয়ত পড়া মুস্তাহাব নয়।
সম্মানিত ভিজিটর আমাদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে আপনি যদি স্বাস্থ্য ও ইসলাম সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইটে লিখে ইনকাম করতে চান তাহলে আমাদেরকে মেইল করুন
fumor209@gmail.com
অথবা সরাসরি যোগাযোগ করুন +8801406839146
সম্মানিত ভিজিটর আপনাদের জন্য সকল তাফসীর গ্রন্থের লিংক দেওয়া হলো নিচে
সকল তাফসীর খন্ড পিডিএফ ফরমেটে পড়ুন
তাফসিরে জালালাইন সকল খন্ড পড়ুন
তাফসির ইবনে কাসির সব খন্ড পড়ুন
সুরা মুলক এর শানে নুযূল ফজিলত তাফসির সহ সমস্ত তথ্য
নফল নামাজ পড়ার সময় নিয়ম ও সুরা সহ সমস্ত তথ্য
ভালবাসার মানুষকে বশে রাখার পরীক্ষিত পদ্ধতি ও আমল