সম্মানিত ভিজিটর ইদ্দতের সকল মাসয়ালা বিস্তারিত দলিলসহ আলোচনা করা হলো
পড়ুন আয়াতুল কুরসি এর সমস্ত তথ্য
ইদ্দত কি ইদ্দত কাকে বলে?
ইদ্দতের সকল মাসয়ালা বিস্তারিত দলিলসহ
জেনে রাখা অবশ্যক যে, স্ত্রী তালাক প্রাপ্তা হলে বা তার স্বামীর মৃত্যু হলে যে সময়ের জন্য উক্ত স্ত্রীকে এক বাড়ীতে থাকতে হয়, অন্যত্র যেতে পারে না বা অন্য কোথাও বিবাহ বসতে পারে না তাকে “ইদ্দত” বলে
ইদ্দত মানে কি?
শব্দটা আরবি (আরবি: عدة)। আভিধানিক অর্থ হল – গণনা বা গণনা করা। মহিলাদের ইদ্দতকাল হল – সেই দিনগুলি, যার পরে তার বিয়ে করা হালাল হয়ে যায়।
ইদ্দত এর বিধানের কারণ
ইদ্দতের সকল মাসয়ালা বিস্তারিত দলিলসহ
জাহিলিয়্যাতের যুগে একটি ব্যাপক প্রচলন ছিল, যদি কারো স্ত্রীর উপর রাগ হতো- ফলাফল ও পরিণতির
দিকে লক্ষ্য না করে এক নিশ্বাসে শুধু তিনিই নয় হাজার তালাক দিয়ে, স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দিতো।
এই পদ্ধতির তালাকের কারণে স্ত্রী, স্বামী এবং সন্তানদের যেই ক্ষতিকর পরিস্থিতির উপর পরতে হতো তার দিকে
লক্ষ্য করে ইসলাম এই নীতি বলে দিয়েছে, যদি তালাক দিতেই হয় তাহলে যেন ইদ্দতের হিসাব অনুযায়ী দেয় এবং ইদ্দত গণনা করে রাখে।
এই ইদ্দতের সময়কাল গণনা রাখা স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।
ইদ্দত চলাকালীন স্ত্রী বিবাহ করতে পারবেন কি?
স্ত্রীর জন্য আবশ্যক হলো ইদ্দতের সময়কালে তিনি অন্য পুরুষের সাথে বিবাহে বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে না। এই
কারণে স্বামী যদি ইদ্দতের সময় অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে পুনরায় নিজের কাছে রাখার ইচ্ছাপোষণ করে তাহলে সে রাখতে পারবে।
ইদ্দতের সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে এই অধিকারটি বিলুপ্ত হবে। ( বি.দ্র. এই বিষয়টি শুধু মাত্র এক তালাক
ও দুই তালাকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তিন তালাক দিয়ে ফেললে এই অধিকার আর থাকে না।)
ইদ্দত চলাকালীন স্বামী বিবাহ করতে পারবেন কি?
তালাক দেওয়ার পরে যদি সে ঐ মহিলার বোনকে বিয়ে করতে চায় তবে ইদ্দতের পরে সে করতে পারে। স্বামী
যদি তার চতুর্থ স্ত্রীকে তালাক দেয় এবং তার তিনটি স্ত্রী থাকে তবে সে স্ত্রীর ইদ্দত শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত আর বিয়ে করতে পারবে না।
ইদ্দত শেষ হলে করতে পারে । উপরন্তু, এই সময়ের মধ্যে এটি জানা যায় যে স্ত্রী যদি গর্ভবতী,তাহলে স্ত্রীর
গর্ভাবস্থার শেষ অবধি অবধি অন্যত্র বিবাহ করতে পারবে না।ইদ্দতের সময়ে পুরুষটি মহিলার প্রসূতি এবং তার বাসস্থান সহ যাবতীয় খরচ বহন করবে।
কিভাবে ইদ্দত পালন করতে হবে?
ইদ্দতের সকল মাসয়ালা বিস্তারিত দলিলসহ
ইদ্দতের সময়কালে, স্বামীর জন্য স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার কোনও অধিকার নেই। স্ত্রীর জন্যও স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে যাওয়া জায়েজ নয়।
বরং একটি বাড়িতে একসাথে থাকবে যাতে পারস্পরিক সমঝোতার ও মনমালিন্যতা দূর হওয়ার যেন অবকাশ থাকে।
আর উভয়ে এক বাড়িতে থাকলে এটা সহজ হবে।
বিবাহবিচ্ছেদ একটি বাধ্যবাধকতা, তবে বৈধ বিষয়গুলির মধ্যে এটি আল্লাহর কাছে সবচেয়ে
অপছন্দনীয় বিষয়। এর কারণেই, তিনি তার বান্দাদেরকে রক্ষা করার জন্য বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে ইদ্দতের শর্ত আরোপ করেছেন।
স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের ক্ষেত্রে একই বাড়িতে থাকার প্রয়োজন,
যাতে তারা উভয়ে ধীর স্থিরভাবে,ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করতে পারে, শেষ পদক্ষেপটি নেওয়ার আগে নিজেদের স্থির করতে পারে।
বিবাহ বিচ্ছেদের পরিবর্তে কোন সংশোধন হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না তা যেন ভাবতে পারে। তবে স্ত্রীর আবশ্যকীয় প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে পারবে ।
বিধবা কিভাবে ইদ্দত পালন করবে?
ইদ্দতের সকল মাসয়ালা বিস্তারিত
বিধবার ইদ্দতের সময় কী কী বিষয়ের উপর শরীয়তের দিকনির্দেশনা রয়েছে তা নিয়ে বহু ভুল বোঝাবুঝি
জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পরেছে। তাদের নিজস্ব নিষেধাজ্ঞাকে শরীয়াহর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়।
বিধবার ইদ্দতের সময় শরিয়াহ নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
১। বিধবা তার স্বামীর মৃত্যুর পর চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করবে।
ইতিমধ্যে তার উচিত তার স্বামীর বাড়িতে থাকা এবং প্রয়োজন ব্যতিরেকে বাড়ির বাইরে না যাওয়া।
অবশ্য গরীব হলে এবং বাইরে গিয়ে কাজকর্ম ব্যতিরেকে খাওয়া পরার ব্যবস্থা না থাকলে
দিনের বেলায় কাজের জন্য বাইরে যেতে পারবে, কিন্তু রাতের বেলায় সে বাড়ীতেই থাকতে হবে।
বাড়ীতে নিজেদের একাধিক ঘর বা একাধিক কামরা থাকলে যে কোন ঘর বা কামরায় থাকতে পারবে।
নির্দিষ্ট একটি স্থানেই আবদ্ধ থাকা জরুরী নয়। বাড়ির বারান্দা বা উঠানেও বের হতে পারবে।
২। স্ত্রী গর্ভপতী হলে সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত তার ইদ্দত পালন করতে হবে।
৩। ইদ্দতের সময় তার সাধারণ পোশাক পরা উচিত এবং সাজসজ্জা এড়ানো উচিত। মেক-আপ,
গহনা এবং জাকজমকপূর্ন পোশাক না পরা উচিত। তবে এর অর্থ এই নয় যে, সে অপরিচ্ছন্ন থাকবে।
৪। ইদ্দতের সময়ে স্পষ্ট নতুন বিবাহের প্রস্তাব না দেওয়া উচিত।
তবে ইশারা ইঙ্গিতে প্রস্তাব দেওয়া যাবে। স্পষ্ট আকারে প্রস্তাব দেওয়া যাবে না।
৫। স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ পেতে দেরি হলে সংবাদ পাওয়ার পূর্বে যে সময় অতিবাহিত হয়েছে সেটাও
ইদ্দতের ভিতর অতিবাহিত হয়েছে বলে ধরা হবে আর ইদ্দতের পূর্ণ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর সংবাদ পেলে
আর তাকে ইদ্দত পালন করতে হবে- তার ইদ্দত পূর্ণ হয়ে গেছে বলে ধরা হবে।
৬। স্বামীর মৃত্যু চাঁদের প্রথম তারিখে হলে চাঁদের হিসেবে চার মাস দশ দিন ধরা হবে। আর চাঁদের প্রথম তারিখ
ছাড়া অন্য যে কোন তারিখে মৃত্যু হলে ৩০ দিনের চার মাস এবং তারপর ১০দিন অর্থাৎ ১৩০ দিন ইদ্দত পালন করবে।
ইদ্দতের প্রকারভেদ ইদ্দত কত প্রকার ও কি কি
ইদ্দত সাত ধরনের-
তালাকের ইদ্দত
মৃত্যুর ইদ্দত
সন্দেহের ইদ্দত
মিসয়ার ইদ্দত
মুতআ’র ইদ্দত
তাযকিয়ার ইদ্দত
গর্ভাবস্থার ইদ্দত
পালনকারী হিসেবে ইদ্দত ১৫ প্রকার।
বিবাহিত কুমারীর ইদ্দত
বিধবার ইদ্দত
গর্ভবতীর ইদ্দত
বাদীর ইদ্দত
আবৃত্তির সময়কাল
পুরুষের ইদ্দত
স্বামী হারিয়ে যাওয়া স্ত্রীর ইদ্দত
অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুর ইদ্দত
ঋতুবতী নয় এমন মহিলার ইদ্দত
সাধারণ মহিলার ইদ্দত
.মাকতু’ হায়েযের ইদ্দত
বায়িন তালাকের (পরিপূর্ণ বিচ্ছেদের) ইদ্দত।
স্বামী মরে গেলে নাক-কান-হাতে গহনা পরা কি ইসলামে নিষিদ্ধ?
নারীদের স্বামী মারা গেলে নাকফুল, কানের দুল, হাতর চুড়ি বা কাকন খুলে ফেলা হয় কিংবা খুলে রাখতে বলা হয়।
অঞ্চলভেদে মৃত স্বামীর দাফন-কাফনের চেয়ে স্ত্রীকে বিধবায় রূপান্তরের বিষয়টি বেশি গুরুত্ব পায়।
স্বামীর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে নারীর জন্য এসব গহনা খোলা কি জরুরি?
এ সম্পর্কে ইসলামের দিকনির্দেশনা কী? স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীর করণীয়ই বা কী?
স্বামীর মৃত্যুতে স্ত্রীর করণীয়ইসলামিক স্কলারদের মতে, স্বামীর মৃত্যুতে নারীর ব্যবহৃত কোনো গহনা খোলা
কিংবা গহনা ব্যবহার না করা বাধ্যতামূলক নয়।
এ রকম কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনাও ইসলাম দেয় না। বরং
স্বামীর মৃত্যুতে স্ত্রীর জন্য করণীয় মুল বিষয় হলো- ৪ মাস ১০ দিন ইদ্দত পালন করা।
আর ৩ দিন শোক পালনের পাশাপাশি ইদ্দত পালনকালীন সময়ে সাজ-সজ্জা থেকে বিরত থাকা।
তাই নারীরা স্বামীর মৃত্যুর পর ৩দিন শোক পালন করবে। হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী
৪ মাস ১০ দিন ইদ্দত পালন করবে। অনেকে ৪০ দিন ইদ্দত পালনের কথা বলে থাকেন।
না, ৪০ দিন নয় বরং ৪ মাস ১০ দিন ইদ্দত পালন করতে হবে। আর ইদ্দত পালনকালীন পুরো সময়ে সাজ-সজ্জা থেকে নিজেকে বিরত রাখাও জরুরি। আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا ۖ فَإِذَا بَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ فِي أَنفُسِهِنَّ بِالْمَعْرُوفِ ۗ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ
আর তোমাদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করবে এবং নিজেদের স্ত্রীদেরকে ছেড়ে যাবে, তখন সে স্ত্রীদের কর্তব্য
হলো নিজেকে চার মাস দশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করিয়ে রাখা।
তারপর যখন ইদ্দত পূর্ণ করে নেবে, তখন নিজের ব্যাপারে নীতি সঙ্গত ব্যবস্থা নিলে কোন পাপ নেই। আর
তোমাদের যাবতীয় কাজের ব্যাপারেই আল্লাহর অবগতি রয়েছে।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২৩৪)
তবে শোক পালন ও সাজ-সজ্জা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা মানে এটি নয় যে, স্বামীর মৃত্যুর আগে থেকে
ব্যবহৃত নাকফুল, কানের দুল, হাতের চুড়ি-কাকন কিংবা গলায় ব্যবহৃত গহনা খুলে ফেলতে হবে।
আর এগুলো নাক-কান-গলা কিংবা হাতে থাকতে পারবে না।
ইদ্দত পালন, শোক পালন ও সাজ-সজ্জা থেকে বিরত থাকা সম্পর্কে একাধিক হাদিসে এসেছে-
হাদিস এক
ইদ্দত-শোক পালনের নির্দেশহজরত উম্মে হাবিবাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি যে,
আল্লাহ এবং পরকালে বিশ্বাসী কোনো নারীর জন্য তার স্বামী ব্যতিত অন্য কারো মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি সময়
হিদাদ (শোক করা ও সাজসজ্জা থেকে বিরত থাকা) বৈধ নয়। আর স্বামীর মৃত্যুতে (স্ত্রী) ৪ মাস ১০ দিন হিদাদ পালন করবে।’ (বুখাবি)
ইদ্দতের হাদিস ২
রঙিন পোশাকহজরত উম্মে আতিয়্যা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো স্ত্রীর স্বামী ব্যতিত অন্য কারো মৃত্যুতে তিন দিনের অধিক শোক প্রকাশ করবে না।
অবশ্য স্বামীর মৃত্যুতে ৪ মাস ১০ দিন শোক পালন করবে। আর এ সময় কোনো রঙিন কাপড় পরবে না।
অবশ্য হালকা রংবিশিষ্ট পোশাক পরতে পারে। আর সুরমা ব্যবহার করবে না, এবং কোনরূপ সুগন্ধি দ্রব্য
ব্যবহার করবে না। অবশ্য হায়েজ (মাসিক ঋতুস্রাব) থেকে পবিত্র হওয়ার পর সামান্য সুগন্ধি বস্তু ব্যবহার করতে পারে।’ (আবু দাউদ)
ইদ্দতের হাদিস ৩
সাজ-সজ্জা ও সুগন্ধি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞাহজরত উম্মে সালামা রাদয়িাল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে স্ত্রীর স্বামী মৃত্যুবরণ করে সে যেন ইদ্দতকালীন সময়ে রঙিন এবং
কারুকার্যমণ্ডিত কাপড় ও অলংকার পরিধান না করে। আর সে যেন খিজাব ও সুরমা ব্যবহার না করে।’ (আবু দাউদ)
স্বামীর মৃত্যুর পর করণীয় ও ইদ্দত সংক্রান্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা কুরতুবি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
الإحداد : ترك المرأة الزينة كلها من اللباس والطيب والحلي والكحل والخضاب بالحناء ما دامت في عدتهاহিদাদ পালনের
অর্থ হলো- নারীরা তার ইদ্দতকালীন সময়ে সুগন্ধি, সুরমা, মেহেদি,
গহনাসহ পোশাক-আশাকের ক্ষেত্রে যাবতীয় সাজসজ্জা ত্যাগ করবে।’ (তাফসিরে কুরতুবি)
কিভাবে তালাকপ্রাপ্ত নারীর ক্ষেত্রে ইদ্দত পালন করতে হবে
কোনো স্বামী যদি তার স্ত্রীকে তালাক প্রদান করে থাকে তাহলে তার ইদ্দত হলো তিন মাসিক পর্যন্ত। আল্লাহ তা’আলা বলেন-
‘‘আর তালাকপ্রাপ্ত নারী নিজেকে অপেক্ষায় রাখবে তিন মাসিক পর্যন্ত।’’ (সূরা বাকারা,আয়াতঃ ২২৮)
বলা যেতে পারে তালাকপ্রাপ্ত স্বামী-স্ত্রীর জন্য ইদ্দত নির্ধারণের মূল লক্ষ্য হলো তাদেরকে পুনরায় সুযোগ
করে দেয়া। তালাক প্রদানকারী যদি কখনো তার ভুল বুঝতে পেরে নিজেকে শুধরে নিতে চায় সেটারই একটা সুযোগ করে দেয়া।
ইদ্দতপালনকালে স্ত্রীকে স্বামীর ঘরেই অবস্থান করতে হয়। ইদ্দত যদি তালাকের কারণে হয়ে থাকে, তাহলে স্বামীই তার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করবে।
আল্লাহ পাক বলেন, ‘তোমরা তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যেরূপ গৃহে বাস কর, তাদেরকেও সেরূপ গৃহে বাস
করতে দিবে; সংকটে ফেলার জন্যে তাদেরকে উত্যক্ত করবে না। (তালাক : ৬৫: ৬)
সুরা তালাক ইদ্দতের বিধিবিধান
মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন শরীফে সূরা তালাকে এরশাদ করেন,‘ হে নবী! (উম্মতকে বলুন)
তোমরা যখন স্ত্রীদেরকে তালাক দিতে চাও, তখন তাদেরকে তালাক দিয়ো ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখে এবং
ইদ্দত গণনা করো। তোমরা তোমাদের প্রতিপালক আল্লাাহকে ভয় করো। তাদেরকে তাদের গৃহ থেকে
বহিষ্কার করো না এবং তারাও যেন বের না হয় যদি না তারা কোন সুস্পষ্ট নির্লজ্জ কাজে লিপ্ত হয়। এগুলো
আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে ব্যক্তি আল্লাহর সীমা লংঘন করে, সে নিজেরই অনিষ্ট করে।
তুমি জান না, হয়তো আল্লাহ এরপর কোন নতুন উপায় করে দেবেন। (সূরা তালাক- ৬৫:১)
সম্মানিত ভিজিটর আপনাদের জন্য সকল তাফসীর গ্রন্থের লিংক দেওয়া হলো নিচে
সকল তাফসীর খন্ড পিডিএফ ফরমেটে পড়ুন
তাফসিরে জালালাইন সকল খন্ড পড়ুন
তাফসির ইবনে কাসির সব খন্ড পড়ুন
সুরা মুলক এর শানে নুযূল ফজিলত তাফসির সহ সমস্ত তথ্য
নফল নামাজ পড়ার সময় নিয়ম ও সুরা সহ সমস্ত তথ্য
ভালবাসার মানুষকে বশে রাখার পরীক্ষিত পদ্ধতি ও আমল