স্বামীকে বশ করার আমল । স্বামীকে বশ করার দোয়া । 7 দিনেই

স্বামীকে বশ করার আমল । স্বামীকে বশ করার দোয়া । 7  দিনেই

7  দিনেই স্বামীদের মধ্যে অনেক স্বামী আছে যারা স্ত্রীকে সময় ও সান্নিধ্য দেয় না অথবা দিতে চায় না।

 স্বামীকে বশ করার আমল ।
নিজের প্রয়োজন হলে কেবল শুধু স্ত্রীর কাছে যায় এবং প্রয়োজনীয়তা শেষ করে চুপসে যায়।
( স্বামীকে বশ করার আমল)

প্রেম-ভাব প্রকাশ ত দূরের বিষয়, অনেক স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে দ্বায় ছাড়ার মতো কথা বলে।

 স্বামীকে বশ করার আমল ।

স্ত্রীর সঙ্গে মন খুলে কথা বলে না, গল্প করে না এমন কি নিজের সুখ দুঃখ ভাগ করে না।

স্ত্রীর কথা শুনতে আগ্রহী নয়, স্ত্রী স্বামীর কাছে থেকে কি চায় সেদিকে আহমক স্বামীদের লক্ষ্য থাকে না।

প্রেম-ভালোবাসাহীন স্বামীর কাছ থেকে পাওয়া এই অসদ আচরণ স্ত্রীর কাছে কেবল নিজেকে স্বামীর যৌন উপভোগের বস্তু মনে হয়।

যা একজন স্ত্রীকে ভীষম কষ্ট ও পীড়া দেয়। স্বামীর এই অসদ আচরণ একজন স্ত্রী কোন ভাবেই মেনে নিতে পারেনা।

তাই প্রেম-ভালোবাসাহীন স্বামীর কাছ থেকে নিজের ভালোবাসার অধিকার আদায় করতে,

স্বামীকে নিজের সান্নিধ্যে আনতে, বহু নারী পীর ফকিরদের কাছে ধরণা দেয়,

তাবিজ-কবজ ও তদবিরের পিছনে টাকা পয়সা ব্যয় করে। তাদের সেই প্রচেষ্টা কতটুকু কাজে দেয় সেটা সেসব নারীরাই সঠিক বলতে পারবে।

কিন্তু আপনি পীর ফকিরদের পিছনে না দৌঁড়িয়ে স্বামীর প্রেম ভালোবাসা আদায় করতে 

 স্বামীকে বশ করবো কিভাবে 

কিছু আমলের দ্বারা স্বামীকে বশ করার চেষ্টা করতে পারেন।

[স্বামীকে বশীকরণ মন্ত্র ]

২ রাকাত নফল নামায বা সালাতুল হাজত পড়িবেন। (উদ্দেশ্য পূরনের নামাজ)

সালাতুল হাজতের প্রথম রাকাতে সূরা ফাতেহার পর সূরা কাফিরুন ১১ বার পড়িবেন।

দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতেহার পর সূরা ইখলাছ ১১ বার পড়িবেন।

ছালাম ফিরানোর পর দুরুদ শরীফ ৭ বার পড়িবেন।
এরপর ইয়া ওয়াদুদু ৩১৩ বার পড়িবেন।

তারপর আবারও দুরুদ শরীফ ৭ বার পড়িবেন।

পরে মুনাজাত করিবেন। এই মুনাজাতে মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে আপনার চাওয়া পাওয়ার বাসনা গুলো তুলে ধরবেন।

দোয়া কবুল হওয়ার ভাল সময়

হাদীস শরীফে বর্ণনা করা হয়েছে যে, “শেষ রাতে, সুবহে সাদিক, সূর্যোদয়ের সময় ও বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়।”

স্বামীকে বশ করার আমল-তাবিজ সব কিছু নয়!

স্বামীর প্রেম ভালোবাসার পাওয়ার জন্য তাবিজ-কবজ ও আমল সব কিছু নয়।

স্বামীর কাছ থেকে ভালোবাসা পেতে হলে স্বামীকেও নিজের ভালোবাসা উজার করে দিতে হবে।

খোলা মনে নিজের ভাব প্রকাশ করতে হবে। স্বামী স্ত্রীর কাছে কি আশা করে 

স্ত্রী হিসেবে জানার চেষ্টা করতে হবে এবং বুঝতে হবে।

আরও পড়ুন 

নিজেকে স্বামীর কাছে সেরা বন্ধু হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে।

এসব করা ব্যতীত স্বামীর প্রেম ভালোবাসা পাওয়ার জন্য হাতে তসবি নিয়ে জপতে থাকলে কোন কাজ হবে না।

পরামর্শঃ স্বামীকে নিজের বশের আনার জন্য বা নিজের সান্নিধ্যে রাখার জন্য স্বামী খুশি হয় এমন সব কাজ করুণ।

নিজেকে আদর্শ স্ত্রী ও নারী হিসেবে গড়ে তুলুন।

Previous Post Next Post