সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে এখনও টিকে আছে বাংলাদেশ । দৃশ্য পট দেখুন

সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে এখনও টিকে আছে বাংলাদেশ । দৃশ্য পট দেখুন

জমে উঠেছে বিশ্বকাপ গ্রুপ-২ এর পয়েন্ট টেবিল।

 সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে এখনও টিকে আছে বাংলাদেশ। শুধু নেদারল্যান্ডস বাদে বাকি ৫ দলেরই সম্ভাবনা আছে শেষ চারে উঠার৷ চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেমিফাইনালে যেতে হলে কোন দলের সামনে কি পরীক্ষা অপেক্ষা করছে..

দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ১ নাম্বারে। শেষ দুই ম্যাচে আফ্রিকানদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডস। শেষ দুই ম্যাচ জিতলে তো কথাই নেই, একটি ম্যাচ জিতেও শেষ চারে উঠতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২ নভেম্বর ডাচরা জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে দিলে পরের দিন পাকিস্তানকে হারালেই দক্ষিণ আফ্রিকার সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে। পাকিস্তানের কাছে হারলেও শেষ ম্যাচে ডাচদের হারিয়ে শেষ চার যেতে পারে টেম্বা বাভুমার দল।

ভারত ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ২ নাম্বারে। শেষ দুই ম্যাচে ভারতের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। সেমিফাইনাল ভাগ্য নিজেদের হাতেই আছে ভারতের। শেষ দুই ম্যাচ জিতলে তো কথাই নেই, একটি ম্যাচ জিতেও শেষ চারে যেতে পারে রোহিত শর্মার দল। বাংলাদেশ কিংবা জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে গেলে অবশ্য অনেক যদি-কিন্তুর মধ্যে পড়বে ভারতীয়রা।

বাংলাদেশ ৩ ম্যাচে দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৩ নাম্বারে। টাইগারদের শেষ দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ ভারত ও পাকিস্তান। ভারতের মতোই সমীকরণ বাংলাদেশেরও। প্রবল দুই প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই জিতলে তো কথাই নেই, একটি ম্যাচ জিতেও সম্ভাবনা আছে প্রথমবারের মতো নকআউট পর্বে ওঠার। ভারতের কাছে পরের ম্যাচে হারলে অবশ্য প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে সেমিফাইনালে ওঠা।

জিম্বাবুয়ে ৩ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেনিলের ৪ নাম্বারে। শেষ দুই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস ও ভারত। শেষ দুই ম্যাচ জিতলেও তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচের ফলের ওপর। ভারত ও নেদারল্যান্ডসকে হারালেও সিকান্দার রাজাদের প্রার্থনা করতে হবে বাংলাদেশ যেন শেষ দুই ম্যাচেই জয় না পায়। বাংলাদেশ শেষ দুই ম্যাচ জিতলে দক্ষিণ আফ্রিকারও অমঙ্গল চাইতে হবে।

পাকিস্তান ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৫ নাম্বারে। শেষ দুই ম্যাচে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে ওঠার নাটাই নিজেদের হাতে নেই পাকিস্তানের। শেষ দুই ম্যাচ জিতলেও অন্য ম্যাচের ফলের ওপর নির্ভর করতে হবে বাবর আজমদের।
Previous Post Next Post