ইস্তেখারার নামাজের নিয়ম

ইস্তেখারার নামাজের নিয়ম, ইস্তেখারা কি,ইস্তেখার নামাজের দোয়া,ইস্তেখারা নামাজের দোয়ার অর্থ, ইস্তেখার নামাজের নিয়ত,

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু সম্মানিত ভিজিটর আজকে আমরা আলোচনা করব ইস্তেখারা নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে আশা করি মনোযোগ দিয়ে আপনারা আজকের লেখাটি পরিপূর্ণ করবেন।

ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম

ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করার আগে আমরা আপনাদেরকে জানাতে চাই যে ইস্তেখারা কে বা ইস্তেখারার অর্থ কি এই বিষয়গুলো আপনি যদি না জানেন তাহলে ইস্তেখারা নামাজ সম্পর্কে আপনার আইডিয়া থাকবে না আপনার সে নামাজ আপনার ফল নাও হতে পারে এজন্য ইস্তেখারা সম্পর্কে আপনার বিস্তারিত জ্ঞান রাখতে হবে।

ইস্তেখারা কি

যখন কোন কাজ করিবার ইচ্ছা করিবে তখন আগে আল্লাহ তায়ালার দরবারে খায়ের বরকতের জন্য দোয়া করিয়া লইবে তারপর কাজে হাত দেবে এই মঙ্গল প্রার্থনা কি আরবিতে ইস্তেখারা বলে হাদীস শরীফে সব কাজের পূর্বে ইস্তেখারা করিয়া লওয়ার বিশেষ উৎসাহ দেওয়া হইয়াছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইছেন আল্লাহ তায়ালার নিকট খায়ের ও বরকতের জন্য দোয়া না করা বদবখতির আলামত ।

উল্লেখযোগ্য: ফরজ, ওয়াজিব,এবং নাজায়েজ কাজের জন্য ইস্তেখারা নাই) বিবাহ সাদি, বিদেশ,যাত্রা বাড়ি নির্মাণ ইত্যাদি যাবতীয় মোবারক কাজের জন্য ইস্তেখারা করিয়া তারপর করিবে তাহা হইলে ইনশাআল্লাহ ফলাফল ভালো হইবে পরে অনুতাপ করিতে হইবে না।

অন্য পোস্ট -

ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম

ইস্তেখারা করিবার সুন্নত তরিকায় এই যে, এশার পর সম্পূর্ণ অজু করিয়া প্রথমে দুই রাকাত নামাজ খুব ব্যক্তির সহিত পড়িবে তারপর দোয়াটি খুব মনোযোগের  সহিত দোয়ার অর্থের দিকে খেয়াল রাখিয়া খোদাকে হাজির নাজির জানিয়া অন্তত তিনবার পড়িবে।

ইস্তেখার নামাজের দোয়া
ইস্তেখার নামাজের দোয়া

ইস্তেখারা নামাজের দোয়ার অর্থ

হে আল্লাহ তুমি জানো আমি জানিনা তুমি ক্ষমতাবান আমি অক্ষম অর্থাৎ ভবিষ্যতের এবং পরিণামের খবর অন্য কেহ জানে না একমাত্র তুমিই জানো এবং তুমি সর্বশক্তিমান মন্দ কেউ ভালো করিয়া দিতে পারো কাজের শক্তিও তুমি দান করো চেষ্টা কে ফলবতী ও তুমিই করো , কাজেই আমি তোমার নিকট মঙ্গল চাহিতেছি এবং কাজের শক্তি প্রার্থনা করিতেছি।

হে আল্লাহ যদি এই কাজটি আমার জন্য আমার দ্বীনের জন্য আমার দুনিয়ার জন্য এবং আমার পরিণাম ও আখেরাতের জন্য তুমি ভালো মনে করো তবে এই কাজটি আমার জন্য তুমি নির্ধারিত করিয়ে দাও এবং ও আমার জন্য সহজ করিয়া দাও এবং ওহাতে আমার জন্য খায়েরও বরকত দান করো, 
পক্ষান্তরে যদি এই কাজটি আমার পক্ষে আমার দিনের পক্ষে বা দুনিয়ার পক্ষে বা পরিণামের হিসাবে আমার জন্য বন্ধ হয় তবে এই কাজকে আমাতে দূরে রাখো আর যেখানে মঙ্গল আছে তাহা আমার জন্য নির্ধারিত করিয়ে দাও এবং তাহাতেই যেন আমি সন্তুষ্ট থাকি।

هذا الامر যখন শব্দটি মুখে উচ্চারণ করিবে তখন যে কাজের জন্য ইস্তেখার নামাজ পড়িতেছে তাহা মনে মনে স্মরণ করিবে। তারপর পাগ বিছানায় ওযুর সহিত পশ্চিম দিকে মুখ করিয়া ঘুমিয়ে পড়িবে।
ভোরে উঠিয়া মন যেদিকে ঝুঁকে বলিয়া মনে হয় তাহা করিবে তাহাতে ইনশাল্লাহ ভালো হবে।

অনেকে মনে করে ইস্তেখারা ধারা গায়েবের রহস্য জানা যায় বা স্বপ্নে কেউ বলিয়া দেয় ইহা জরুরী নয় তবে স্বপ্নে কিছু জানাতেও পারে নাও জানিতে পারে।

ইস্তেখারা কতদিন করতে হয়

যদি একদিনে মন ঠিক না হয় তবে পরপর সাত দিন ইস্তেখারা করিবে তা হলে ইনশাআল্লাহ ভালো-মন্দ বুঝা যাইবে আল্লাহর কাছে মঙ্গলের জন্য দোয়া করাই ইস্তেখারা আসল উদ্দেশ্য সুতরাং মন কোন দিকে ও ইস্তেখারা কোরিয়া কাজ করলে আল্লাহর রহমতে মঙ্গলই হইবে।


হজে যাওয়ার সময় ইস্তেখারা

হজে যাওয়ার জন্য এই ভাবেই ইস্তেখারা করিবে না যে যাইবো কি যাইবো না অবশ্যই কোন নির্দিষ্ট তারিখে বা জাহাজে যাওয়ার জন্য ইস্তেখারা করা উত্তম।
ইস্তেখারার বিকল্প
যদি কোন কারনে ইস্তেখার নামাজ পড়তে না পারে অন্তত দোয়াটি কয়েকবার পড়িয়া রইবে তবুও ইস্তেখারা ছাড়িবে না অন্তত اللهم خرلى اللهم وخترلى এতটুকু পড়িয়া নিবে।

আজকের পোস্টটি ফেসবুকে শেয়ার করে দিন।


Previous Post Next Post